![]() |
বিশুদ্ধ নিত্যকর্ম পদ্ধতি |
নিত্যকর্ম কী – ধর্মীয় ব্যাখ্যা সহ
- 1. প্রাতঃকৃত্য
- 2. শৌচক্রিয়া
- 3. নিষেধেঽপি কুর্যাৎ
- 4. তীর্থ আবাহন
- 5. দেবতৰ্পণ
- 7. গুরুতর্পণ
- 8. মনুষ্য তর্পণ
- 9. ঋষি তৰ্পণ
সকালে স্মরণ করা, শুচি থাকা, স্নান করা, আচমন, দেবপূজা, জপ ও পাঠ, হোম করা, তर्पণ এবং সন্ধ্যা বন্দনা। একটি দ্বিজ (যেমন ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বা বৈশ্য) জন্য গায়ত্রী মন্ত্র জপ এবং ত্রিকাল সন্ধ্যা পালন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাহ্ম মুহূর্তে ওঠার পর ঈশ্বরকে স্মরণ করে দিন শুরু করা নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবে ভালো।
নিত্যকর্মের মাধ্যমে শরীর, মন ও আত্মা পরিষ্কার হয়। এটা ব্যক্তির মধ্যে শৃঙ্খলা, পরিশুদ্ধতা এবং ঈশ্বরচিন্তার অভ্যাস গড়ে তোলে। বৈদিক ধর্মে এগুলোকে যজ্ঞ, জপ ও তপের সঙ্গে যুক্ত করে সাধকের আত্মাকে মুক্তির পথে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার সময় সূর্য ও অগ্নিদেবকে প্রার্থনা করা হয়, যা মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
নিত্যকর্মের আরেকটা উদ্দেশ্য হলো সামাজিক দায়িত্ব পালন, যেমন ব্রাহ্মণসেবা, অতিথিসেবা ও পূর্বপুরুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর কাজ। প্রতিদিন যেসব কাজ ঈশ্বর, পূর্বপুরুষ ও সমাজের ভালো খোঁজে করতে হয়, সেগুলোই নিত্যকর্ম। বৈদিক দর্শনে এ ধরনের কাজকে কর্মযোগের ভিত্তি বলা হয়।
সারকথা, নিত্যকর্ম কেবল ধর্মীয় আচার নয়, এটা সনাতন জীবনের একটি নৈতিক ও আধ্যাত্মিক নিয়ম। প্রতিদিন এই নিয়ম পালন করলে জীবনে শুদ্ধতা, শান্তি ও ঈশ্বরের দয়া পাওয়া যায়। এভাবেই নিত্যকর্ম একজন হিন্দুর ধর্মজীবনের মূল ভিত্তি তৈরি করে।
মল-মূত্র ত্যাগ, দাঁত পরিষ্কার, স্নান এবং প্রাতঃসন্ধ্যা – এই চারটি কাজকে প্রাতঃকৃত্য বলা হয়। এগুলো না করলে দেবতা বা পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে করা কাজ ফলপ্রসূ হয় না। ব্রাহ্মমুহূর্তে (রাতের চার ভাগের সময়) সবার উচিত বিছানা ছেড়ে ওঠা। সূর্য ওঠার আগে ১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিটের সময়কে ব্রাহ্মমুহূর্ত বলে। এই সময়ে সবাইকে ঘুম থেকে উঠে ইষ্ট-স্মরণ করা উচিত।
প্রাতঃকৃত্য পদ্ধতি (সংক্ষেপে): নিদ্রাভঙ্গ হওয়ামাত্র নিম্নলিখিত মন্ত্রে শ্রীগুরু-স্মরণ করিবে ও শ্রীগুরুচরণে প্রণত হইবে।প্রাতঃ শিরসি শুক্লাজে দ্বিনেত্রং দ্বিভুজং গুরুম্ বরাভয়করং শান্তং স্মরেৎ তন্নাম পূর্ব্বকম্।। 'শিরস্থিত সহস্রদলকমলে শ্রীগুরু উপবিষ্ট আছেন। পূর্ণশশধরসম শুক্লবর্ণ গুরুদেব। তাঁহার দ্বিনয়ন ও দ্বিহস্ত। তিনি শুক্লবসনধারী। বর ও অভয়দাতা প্রশান্ত মূর্ত্তি গুরুদেবকে প্রভাতে ধ্যান করিবে ও তাঁহার নাম স্মরণ করিবে।
“নমোহদ্য গুরবে তস্মৈ ইষ্টদেব স্বরূপিনে ৷
যস্য বাক্যামৃতং হন্তি বিষং সংসারসংজ্ঞকম্।।”
এই মন্ত্রে শ্রীগুরুচরণে প্রণাম করিয়া, নিম্নলিখিত মন্ত্রে বিষ্ণুস্মরণ করিবে ও তাঁহার শরণাগত হইবে।
“লোকেশ চৈতন্যময়াধিদেব, শ্রীকান্ত বিষ্ণো ভবদাজ্ঞয়ৈব। প্রাতঃ সমুখায় তব প্রিয়ার্থং, সংসারযাত্রা-মনুবর্ত্তয়িয্যে।।” “জানামি ধৰ্ম্মং নচমে প্রবৃত্তিঃ,জানাম্যধর্ম্মং নচমে নিবৃত্তিঃ। ত্বয়া হৃষীকেশ হৃদিস্থিতেন যথা নিযুক্তোঽস্মি তথা করোমি।
তৎপর “ প্রিয়দত্তায়ৈ ভূবে নমঃ ” – এটা বলার পর মাটিতে প্রণাম করতে হবে এবং তারপর দক্ষিণ পা (যদি মহিলা হন তাহলে বাঁ পা) ফেলে শয্যা ছাড়তে হবে। সকালে উঠে প্রথমে তুলসীকে দেখতে এবং প্রণাম করতে হবে, তারপর সূর্যকে প্রণাম করতে হবে।
শয্যা থেকে উঠে “ওঁ নমো জল নারায়ণায়” এই মন্ত্র বলে জলনারায়ণকে প্রণাম করতে হবে এবং চোখে-মুখে একটু জল দিয়ে শৌচাগারে যেতে হবে। মলমূত্র ত্যাগের সময় যজ্ঞসূত্র (পইতা) ডান কান্নে রাখতে হয়। মূত্র ত্যাগের সময় কাছা খোলা এবং জলশৌচ করা ভালো। জলপাত্র হাতে নিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করা উচিত নয়। পথে, ভষ্মের উপর, গোষ্ঠিতে, পুকুরে, চিতায়, পাহাড়ে, ভগ্ন দেবালয়ে, উইঢিপিতে, গর্ভে এবং দাঁড়িয়ে বা চলতে চলতে প্রস্রাব করা উচিত নয়। মলমূত্র ত্যাগের সময় কথা বলা ঠিক নয়। উত্তর বা দক্ষিণ দিকে মলমূত্র ত্যাগ করতে হয়। কখনই পূর্ব দিকে মলমূত্র ত্যাগ করা উচিত নয়। মলমূত্র ত্যাগের পর সবসময় জলশৌচ এবং পরবর্তী মৃত্তিকাশৌচ ঠিক করতে হয়। শৌচ সেরে প্রাকৃতিক জলে হাত-পা ধুয়ে পোশাক পরিবর্তন করতে হবে।
পদ্ধতি (সংক্ষেপে)
এই বাক্যটা তখন বলা হয় যখন কেউ ধর্ম, নৈতিকতা, বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের জন্য সাধারণ নিয়ম বা সামাজিক রীতি উপেক্ষা করতে বলতে চায়। অর্থাৎ, কিছু কাজ সাধারণত নিষেধ, কিন্তু যদি সেটা ধর্ম, সত্য, বা বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য দরকারি হয়, তখন সেটা করা উচিত। উদাহরণ হিসেবে, যদি কেউ কঠিন পরিস্থিতিতে সত্য বললে বিপদে পড়ে, তাও সত্য বলাটাইটাই সঠিক। এ কারণে বলা হয়, 'নিষেধেঽপি কুর্যাৎ সত্যং ব্রূয়াত্' (নিষেধ থাকা সত্ত্বেও সত্য বলা উচিত)।
নিষেধেঽপি কুর্যাৎপদ্ধতি (সংক্ষেপে):
তীর্থে তিথিবিশেষে চ গঙ্গায়াং পিতৃপক্ষকে ।
নিষিদ্ধেহপি দিনে কুৰ্য্যাৎ তর্পণং তিলমিশ্রিতম্।।
দেবতা, মানুষ আর ঋষিদের শ্রদ্ধা জানাতে তিল ব্যবহার করা যাবে না; যব ব্যবহার করা হতে পারে। কালোশৌচে শুধু মৃতেকেই শ্রদ্ধা জানাতে হয়, আর কাওকে নয়।
তীর্থ আবাহন (তীর্থের আহ্বান) হলো হিন্দু ধর্মে পূজা বা যজ্ঞের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। এর মাধ্যমে বিভিন্ন পবিত্র নদী, সরোবর, আর তীর্থক্ষেত্রের জল ও দেবতাদের একটি পাত্রে আহ্বান করা হয়। এটা সাধারণত পূর্বের কাজ বা সংকল্প করার সময় ব্যবহৃত হয়।প্রথমে, দুইবার আচমন করে যজ্ঞোপবীত দক্ষিণ কাঁধে রেখে হাত জোড় করে নিচে দেওয়া মন্ত্রটি বলে তীর্থকে আহ্বান করবেন।
তীর্থ আবাহন পদ্ধতি (সংক্ষেপে):
ওঁ কুরুক্ষেত্র-গয়া-গঙ্গা-প্রভাস-পুষ্করাণি চ।
পুণ্যানেতানি তীর্থানি তর্পণকালে ভবন্তিহ।।
তৎপরে উপবীতি ( যজ্ঞোপবীত বাম স্কন্ধে স্থাপন করিয়া) হইয়া
এই প্রক্রিয়াটা ‘তীর্থসঞ্চয়’ বলে। এটা শ্রাদ্ধ, পূজা, শুদ্ধি আর যজ্ঞের জন্য খুব জরুরি। অনেকের মতে, এই আহ্বান করলে সত্যিকারের তীর্থের পবিত্র জল ওই পাত্রে আসে এবং পূজার কাজ শেষ হয়।
দেবতৰ্পণ মানে হল নির্দিষ্ট মন্ত্র পড়া, জল আর তিল বা ফুল দিয়ে দেবতাদের সামনে অঞ্জলি দেওয়া। এতে আমাদের দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ধন্যবাদ আর আশীর্বাদ চাওয়ার ভাব প্রকাশ হয়।
দেবতৰ্পণের পদ্ধতি (সংক্ষেপে): পূৰ্ব্বমুখে “ ওঁ দেবাঃ আগচ্ছন্তু ” এই বাক্যে দেবগণকে আবাহন করিবে। পরে নিম্নলিখিত মন্ত্রে প্রত্যেককে দেবতীর্থ (সমস্ত অঙ্গুলির অগ্রভাগ ) দ্বারা এক এক অঞ্জলি জল দিবে। (ওঁ) ব্রহ্মাঃ তৃপ্যতাং, (ওঁ) বিষ্ণুস্তূপ্যতাং, (ওঁ) রুদ্রস্তূপ্যতাং, (ওঁ) প্রজাপতিস্তূপ্যতাং, (“তৃপ্যতাং ” স্থলে ঋবেদীগণ ও শূদ্রগণ “তৃপ্যতু” বলিবেন) ওঁ শ্রীগুরুপ্যতাং । প্রণামঃ- ‘ব্রহ্মানন্দ......’ইত্যাদি।
গুরুতর্পণ হল হিন্দু ধর্মের একটি আচার, যেখানে গুরুদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এটার মাধ্যমে আমাদের আত্মিক ও আধ্যাত্মিক নেতা গুরুদের জল, মন্ত্র এবং তিল দিয়ে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। তর্পণ শব্দের মানে হল তৃপ্ত করা এবং গুরু মানে হল সেই ব্যক্তি, যিনি অন্ধকারের থেকে আলোতে নিয়ে আসেন — অর্থাৎ যিনি জ্ঞান দান করেন। হিন্দু শাস্ত্রে গুরুদের ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের সমান মানা হয়। গুরু তত্ত্বকে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং কৃতজ্ঞতার মাধ্যমে স্মরণ এবং পূজা করাই গুরুতর্পণের মূল উদ্দেশ্য। বিশেষ করে ঋষিতর্পণ অংশে গুরুতর্পণ থাকে। সাধারণত ত্রিকালসন্ধ্যার পর বা পিতৃতর্পণের সময় এই আচারটি করা হয়।
গুরুতর্পণের পদ্ধতি (সংক্ষেপে): যক্ষ-রক্ষ-গন্ধর্ব তর্পণ তৎপরে নিম্নলিখিত মন্ত্রে দেবতীর্থদ্বারা এক অঞ্জলি জল দিবে।
(ওঁ) দেবা যক্ষাস্তথা নাগা গন্ধর্ব্বাপ্সরসোঽসুরাঃ।
ক্রূরাঃ সম্পাঃ সুপর্ণাশ্চ তরবো জিহ্মগাঃ খগাঃ।
বিদ্যাধরা জলাধারা-স্তথৈবাকাশগামিনঃ।
নিরাহারাশ্চ যে জীবাঃ পাপে ধর্ম্মে রতাশ্চ যে। তেষা-মাপ্যায়নায়ৈতদ্দীয়তে সলিলং ময়া।।
মনুষ্য তর্পণ হল এক ধরনের অনুষ্ঠান যেখানে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষ, অতিথি, গুরু বা জীবিত শ্রদ্ধেয় মানুষদের স্মরণ করি। এতে তাঁদের মানসিক ও আধ্যাত্মিক শান্তি কামনা করা হয়। এটা সাধারণ তর্পণের থেকে আলাদা, কারণ এখানে দেবতা বা ঋষির বদলে মানুষের জন্য তর্পণ করা হয়।
মনুষ্য তর্পণ পদ্ধতি (সংক্ষেপে): তদনন্তর নিবীতি (যজ্ঞসূত্র মাল্যবৎ গলদেশে ধারণপূর্বক) হইয়া উত্তর মুখে (সামবেদীগণ পশ্চিম মুখে) নিম্নলিখিত মন্ত্রে কায়তীর্থ (কনিষ্ঠা ও অনামিকার অঙ্গুলির মূল প্রদেশ) দ্বারা ক্রোড়াভিমুখে দুই অঞ্জলি জল দিবে।
(ওঁ) সনকশ্চ সনন্দশ্চ তৃতীয়শ্চ সনাতনঃ।
কপিলশ্চাসুরিশ্চৈব বোটুঃ পঞ্চশিখস্তথা।।
সৰ্ব্বে তে তৃপ্তিমায়ান্তু মদ্দত্তেনাম্বুনা সদা।।
অনন্তর পূর্ব্বাস্য হইয়া উপবীতি অবস্থায় নিম্নলিখিত মন্ত্রে প্রত্যেককে
ঋষি তর্পণ হলো হিন্দু ধর্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেখানে আমরা পবিত্র ঋষি মুনিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এটা মূলত শ্রাদ্ধ বা তর্পণের অংশ, যেখানে আমরা পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঋষিদেরও সন্তুষ্ট করার জন্য জল, তিল আর কিছু মন্ত্র পাঠ করি। ঋষি তর্পণ বলতে বোঝায়, ঋষিদের জন্য জল দিয়ে অর্ঘ্য দেওয়া এবং মন্ত্র পড়ে তাদের খুশি করানো। ঋষিরা আমাদের ধর্মের প্রাচীন সাধক, যাদের কাছ থেকে আমরা নানা শাস্ত্র, মন্ত্র ও জ্ঞান পেয়েছি।
ঋষি তৰ্পণ পদ্ধতি (সংক্ষেপে): দেবতীর্থ দ্বারা এক এক অঞ্জলি জল দিবে। “(ওঁ) মরীচিস্তূপ্যতাং, (ওঁ) অত্রিস্তূপ্যতাং, (ওঁ) অঙ্গিরাস্তূপ্যতা,(ওঁ) পুলস্ত্যস্তূপ্যতাং, (ওঁ) পুলহস্তূপ্যতাং, (ওঁ) ক্রতুপ্যতাং, (ওঁ) প্রচেতাস্তূপ্যতাং, (ওঁ) বশিষ্ঠস্তূপ্যতাং, (ওঁ) ভৃগুস্তূপ্যতাং,(ওঁ) নারদস্তূপ্যতাং ।”(ঋগ্বেদীয়গণ ও শূদ্রগণ “ তৃপ্যতাং ” স্থলে “ তৃপ্যতু” বলিবে) দিব্য-পিতৃতর্পণ)
অনন্তর দক্ষিণাস্যে প্রাচীনাবীতি হইয়া নিম্নলিখিত মন্ত্রে পিতৃতীর্থ (অঙ্গুষ্ঠ ও তর্জনীর মূলদেশ) দ্বারা প্রত্যেককে এক এক অঞ্জলি সতিল জল দিবে।(ওঁ) অগিধাত্তাঃ পিতরস্তূপ্যন্তা-মেতৎ সতিলোদকং* তেভ্যঃ (স্বধা)।(ওঁ) সৌম্যাঃ পিতরস্তূপ্যন্তা-মেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ (স্বধা)। (ওঁ) হবিষ্মন্তঃ পিতরস্তূপ্যন্তা-মেতৎ সতিলোদকং তেভ্যঃ (স্বধা)।* গঙ্গাজল হইলে 'সতিল গঙ্গোদকং ও বলিতে হইবে। অন্যতীর্থের জল হইলে কেবল সেই তীর্থের নামের সহিত ‘উদকং' যোগ করিয়া বলিতে হইবে। (যথা ব্রহ্মপুত্রোদকং যমুনোদকং ইত্যাদি)। তিলের অভাবে কেবল 'উদকং' বলিতে হইবে।
faq; নিত্যকর্ম কীভাবে বিশুদ্ধভাবে করবেন?
প্রাতঃকৃত্য, শৌচক্রিয়া, নিষেধেঽপি কুর্যাৎ, তীর্থ আবাহন, দেবতৰ্পণ,গুরুতর্পণ,মনুষ্য তর্পণ,ঋষি তৰ্পণ এই নয়টি কার্য সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ নিত্যকর্ম করা সম্ভব।
এটি হলো সঠিক ও সর্বোত্তম বিশুদ্ধ নিত্যকর্ম্ম পদ্ধতি। প্রতিটি হিন্দুধর্মালম্বীদের এই বিশুদ্ধ নৃত্যকর্মগুলো করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নতুন প্রজন্মকে এ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া উচিত।
0 Comments