Posts

ভক্তিযোগ কি? গুরুত্ব, উপকারিতা ও সাধন পদ্ধতি

Image
ভক্তিযোগ আসলে আত্মাকে পুরোপুরি ঈশ্বরের কাছে তুলে দেওয়ার এক সহজ উপায়। এটা যোগের মধ্যে একটা মিষ্টিমধুর ধারা। ভক্তিযোগের মূল কথা হল ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা , শ্রদ্ধা এবং নিঃস্বার্থ সেবা। যে কেউ ভগবানের নাম জপ করে কিংবা কীর্তন করে , সে ধীরে ধীরে শান্তি পায়।   ভক্তিযোগের উদ্দেশ্য এই পথে জাতি , বয়স বা শিক্ষার কোনও বাধা নেই। ভক্তি হৃদয়ের শুদ্ধতা দেয় এবং অহংকার দূর করে। এটা আমাদের মানবিকতা এবং সহানুভূতির শিক্ষা দেয়। নিয়মিত ভক্তি সাধনা করলে আমরা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাতে পারি। তাই ভক্তিযোগ শুধু মুক্তির পথ নয় , এটা আনন্দ ও শান্তিরও এক অভিজ্ঞতা। শ্রবণং, কীর্তনং, বিষ্ণোঃ এই তিনটি হচ্ছে ভক্তিযোগের অঙ্গ। অতএব আমরা বলতে পারি স্বয়ং ভগবানের নাম মাহাত্ম কীর্তন শ্রবণ অথবা বিজ্ঞ আচার্যদের দিব্য জ্ঞান সম্মানিত দার্শনিক প্রবচন শোনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে ভক্তিযোগ সাধিত হয়।  ভক্তিযোগের পথ প্রেম, নিষ্ঠা এবং সমর্পণের মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্মতা অর্জনের পথ। এটি হিন্দু দর্শনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগপন্থা, যেখানে ভক্তি ব...

হরিবাসর ও হরিসভা কেন পালন করা হয়? সম্পূর্ণ তথ্য

Image
এখনকার মানুষ অনেকেই সত্যিকারভাবে অমৃত কথাগুলো ভুলে গেছে। আধুনিকতার চাপে এবং অর্থের খোঁজে তারা ভুল পথে চলে যাচ্ছে। এমন সময়ের মধ্যে অনেকেই সত্য সুন্দরকে খুঁজে পাচ্ছে না। এই দুঃখজনক পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য মানবতার কাছে প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের পথই একমাত্র উপায়। হারিবাসর বা হরিসভা আসলে একটি ধর্মীয় ও সামাজিক মিলনমেলা , যা মূলত বৈষ্ণবদের মধ্যে হয়। এখানে সাধারণত ভক্তিজাত গান , কীর্তন , ধর্মীয় আলোচনা এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়।   হরিবাসর / হরিসভা হরিবাসর বা হরিসভা হিন্দু ধর্মীয় ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি সাধারণত কীর্তন, ভজন, ভাগবত পাঠ, এবং ধর্মীয় আলোচনা নিয়ে গঠিত হয়  হরিবাসর ও হরিসভার বৈশিষ্ট্য:  কীর্তন ও নামসংকীর্তন –ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বা শ্রীহরির নামগান করা হয়।   ভক্তিগীতি ও ভাগবত আলোচনা – শ্রীমদ্ভাগবত, রামায়ণ, মহাভারত বা অন্যান্য ধর্মীয় শাস্ত্র থেকে পাঠ ও ব্যাখ্যা করা হয়।   সমবেত উপাসনা – ভক্তরা একত্রে প্রার্থনা ও ভজন করেন।   প্রসাদ বিতরণ – অ...